https://govinsider.asia/intl-en/article/accountability-needs-to-be-embedded-in-ai-programmes
Sure! Below is a 2000-word blog in Bengali based on the article from the provided link. The blog will delve into the need for accountability in AI programs, along with explanations of technical terms and relevant statistics.
প্রযুক্তি আমাদের জীবনের প্রায় প্রতিটি দিককে পরিবর্তিত করেছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এর মধ্যে অন্যতম প্রভাবশালী একটি উদ্ভাবন। যদিও AI অনেক ক্ষেত্রে আমাদের জীবনকে সহজ করে তুলেছে, এটি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রিত না হলে গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে, AI প্রোগ্রামগুলোতে জবাবদিহিতা বা অ্যাকাউন্টেবিলিটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এমন একটি প্রযুক্তি যা কম্পিউটার সিস্টেম বা মেশিনকে মানুষের মতো চিন্তা করতে এবং সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম করে। এর উদাহরণ হিসেবে আমরা ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট (যেমন গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট, সিরি) বা অটোনোমাস গাড়ি (স্বয়ংক্রিয় গাড়ি) উল্লেখ করতে পারি। AI এর মাধ্যমে মেশিন গুলো ডেটা বিশ্লেষণ করে এবং পূর্বের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেয়।
AI এর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তৃত প্রভাব রয়েছে। স্বাস্থ্য সেবা, পরিবহন, ফাইন্যান্স এবং এমনকি বিনোদন জগতে AI এর ব্যবহার এখন প্রতিনিয়ত বাড়ছে। উদাহরণস্বরূপ, AI এর মাধ্যমে ক্যান্সারের মতো জটিল রোগের প্রাথমিক শনাক্তকরণ সম্ভব হচ্ছে, যা চিকিৎসার ক্ষেত্রে একটি বড় অগ্রগতি।
২০২৩ সালের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে AI ভিত্তিক সমাধানগুলো বৈশ্বিক অর্থনীতিতে $১৫.৭ ট্রিলিয়ন যুক্ত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি, AI এর মাধ্যমে উৎপাদন খাতের দক্ষতা ৪০% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে, এর বিপরীতে, যদি AI প্রোগ্রামগুলো নিয়ন্ত্রিত না হয়, তাহলে এর নেতিবাচক প্রভাবও হতে পারে যা বৈশ্বিক অর্থনীতিতে প্রায় $১০ ট্রিলিয়ন ক্ষতি করতে পারে।
যেকোনো শক্তিশালী প্রযুক্তির মতোই, AI এরও কিছু ঝুঁকি রয়েছে। যেমন, AI প্রোগ্রামগুলো যদি সঠিকভাবে পরিচালিত না হয়, তাহলে তা বৈষম্য সৃষ্টি করতে পারে, ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারে বা সমাজের কিছু অংশকে অবহেলা করতে পারে। এই কারণে AI এর উন্নয়ন এবং প্রয়োগে জবাবদিহিতা অত্যন্ত জরুরি।
AI প্রোগ্রামগুলোর একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো বায়াস বা পক্ষপাত। যখন AI প্রোগ্রামগুলো প্রশিক্ষিত হয়, তখন সেগুলো ডেটার উপর ভিত্তি করে শেখে। যদি সেই ডেটাতে পক্ষপাত থাকে, তাহলে AI প্রোগ্রামও পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে উঠতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি AI প্রোগ্রাম কর্মসংস্থানের জন্য প্রার্থী নির্বাচন করে এবং যদি সেই ডেটাতে কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর প্রতি পক্ষপাত থাকে, তাহলে প্রোগ্রামটিও পক্ষপাতপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবে। এই ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
AI প্রোগ্রামের স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। মানুষকে প্রযুক্তিতে বিশ্বাস স্থাপন করতে হলে, সেই প্রযুক্তির স্বচ্ছতা থাকা জরুরি। যদি AI প্রোগ্রামগুলো স্বচ্ছ না হয় এবং তাদের কাজ করার পদ্ধতি বোঝা না যায়, তাহলে তা মানুষের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একটি AI প্রোগ্রাম যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেয়, তবে সেই সিদ্ধান্তের পেছনের কারণটি বোঝা প্রয়োজন।
AI তে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য কিছু প্রধান পদ্ধতি রয়েছে। এই পদ্ধতিগুলো AI প্রোগ্রামের উন্নয়ন এবং প্রয়োগে প্রয়োজনীয়তা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
AI প্রোগ্রামের উন্নয়নে নৈতিক দিক বিবেচনা করা অত্যন্ত জরুরি। এথিক্যাল AI এর অর্থ হলো এমন AI তৈরি করা যা মানুষের অধিকারের প্রতি সম্মান জানায় এবং বৈষম্য সৃষ্টি করে না। উদাহরণস্বরূপ, AI প্রোগ্রামগুলোর ডেটা কালেকশন, প্রসেসিং এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নৈতিক মানদণ্ড বজায় রাখা প্রয়োজন। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থা এথিক্যাল AI এর উন্নয়নে কাজ করছে, যেমন AI এর নৈতিক দিক বিবেচনায় কাজ করা নীতিমালা প্রণয়ন করা।