ইউটিউব লিংক: https://www.youtube.com/watch?v=V30UIhoqFOA

‘বিয়ন্ড বিজনেস’ সমন্ধে: ডিজিটাল যুগে তরুণদের মধ্যে অনলাইন আয়, উদ্যোক্তা হওয়া এবং দক্ষতা উন্নয়নের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে উদ্যোক্তা সামসুজ্জামান রিটন শুরু করেছেন তাঁর ইউটিউব চ্যানেল ‘বিয়ন্ড বিজনেস’, যেখানে তিনি বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে সহজ ও প্রয়োগযোগ্য উপায়ে শেখাচ্ছেন কিভাবে চাকরির পাশাপাশি বা চাকরি ছেড়ে নিজস্ব ব্যবসা শুরু করা যায়। চ্যানেলটিতে দর্শকরা শিখতে পারেন — ব্যবসা ও আয়ের নতুন পথ তৈরি করার কৌশল, স্টুডেন্ট ও হাউসওয়াইফদের জন্য অনলাইন আয়ের সুযোগ, বিজনেস গ্রোথ ও ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি, ওয়েবসাইট ও অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সংক্রান্ত টেকনোলজি গাইড। রিটনের লক্ষ্য স্পষ্ট — তরুণ ও আগ্রহী উদ্যোক্তাদের ধাপে ধাপে গাইডলাইন দিয়ে ক্যারিয়ার ও ফিনান্সিয়াল ফ্রিডম অর্জনে সহায়তা করা। ‘বিয়ন্ড ব্রাকেট’ ইতোমধ্যেই তরুণদের কাছে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এক অনুপ্রেরণার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে, যেখানে জ্ঞানের পাশাপাশি আছে বাস্তব জীবনের সফলতার গল্পও।

ড. মশিউর এর সাথে ‘বিয়ন্ড ব্রাকেট’ এর সাক্ষাৎকারের মূল অংশগুলি:

বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও জীবনের গল্প


বিয়ন্ড বিজনেস: ভিউয়ার্স, আজকের বিয়ন্ড বিজনেস পডকাস্ট–এর নতুন পর্বে আমাদের সঙ্গে রয়েছেন এক বহুমাত্রিক ব্যক্তিত্ব—ড. মশিউর রহমান। তিনি একাধারে বিজ্ঞানী, সফটওয়্যার ও টেক পেশাজীবী, আবার লেখকও। প্রযুক্তি নিয়ে কাজের পাশাপাশি তিনি নিয়মিত ভ্রমণ করেন এবং ভ্রমণ নিয়ে লেখালেখিও করেন। এতগুলো পরিচয়ের মধ্যে তিনি নিজেকে আসলে কোন পরিচয়ে দেখতে চান—চলুন, আমরা সেটা তাঁর মুখ থেকেই শুনি।


ড. মশিউর রহমান: ধন্যবাদ। বিয়ন্ড বিজনেস–এর সকল দর্শককে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আপনারা যে শুধু ব্যবসা নয়, ব্যবসার বাইরেও মানুষের চিন্তাধারাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন—এটি সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ বলে মনে করি।

নিজের পরিচয় দিতে গেলে আমি নিজেকে প্রথমেই বিজ্ঞানী হিসেবে দেখি। আমার মূল কাজ স্বাস্থ্য খাতে—কীভাবে আধুনিক প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে মানুষের সুস্থতা নিশ্চিত করা যায়, সেটি নিয়েই আমার গবেষণা ও পেশাগত কার্যক্রম।

তবে বিজ্ঞানের কাজের পাশাপাশি আমি দীর্ঘদিন ধরে লেখালেখি করছি। আমার লক্ষ্য হলো জটিল বৈজ্ঞানিক ধারণাগুলোকে সহজ ভাষায় তরুণ প্রজন্ম ও সাধারণ পাঠকের কাছে তুলে ধরা। আমি চাই, বাংলাভাষায় এমন এক বিজ্ঞানচর্চা হোক যেখানে কেউ ভয় পাবে না বিজ্ঞানের কঠিন শব্দে, বরং আগ্রহী হবে তা জানার। তাই আমি ছোটদের জন্য সহজ ভাষায় বিজ্ঞান বিষয়ক লেখা লিখি। সেই লক্ষ্যে ২০০৬ এ বেশ কিছু বাংলাদেশী বিজ্ঞানীদের নিয়ে শুরু করি biggani.org নামে একটি প্লাটফর্ম যেখানে দেশ বিদেশে ছড়িয়ে ছিটে থাকা বাংলাদেশী বিজ্ঞানীদের সাক্ষাৎকার নিয়ে আসছি। বর্তমানে আমি বিজ্ঞানী অর্গ এর সম্পাদক হিসাবে কাজ করছি।

এছাড়াও, আমি দেশের নীতিনির্ধারক বা decision-maker–দের উদ্দেশে বিভিন্ন পত্রিকায় সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয় লিখি। সেখানে আমি আলোচনা করি—বাংলাদেশে বিজ্ঞানচর্চা ও প্রযুক্তিনির্ভর নীতিনির্ধারণের জন্য কী ধরনের প্রস্তুতি ও দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন।

এর বাইরে আমি ভ্রমণ কাহিনি, গল্প এবং কবিতাও লিখি—যেখানে জীবনের নানা অনুভূতি ও উপলব্ধি প্রকাশ করার চেষ্টা করি।


বিয়ন্ড বিজনেস: লেখালেখির এই আগ্রহটা কোথা থেকে এলো বলে আপনি মনে করেন?

ড. মশিউর রহমান: আমার লেখালেখির মূল উদ্দেশ্য একটাই—জীবনকে বোঝা, এবং সেই বোঝার অভিজ্ঞতাগুলো অন্যের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া। আমি মনে করি, জীবনের ভুলগুলোও একেকটি শিক্ষা। তাই আমি চেষ্টা করি আমার নিজের ভুল ও সেগুলো সংশোধনের গল্পগুলো এমনভাবে লিখতে, যাতে পাঠক নিজের জীবনের সাথেও মিল খুঁজে পায়।

আমার লেখা কয়েকটি বইয়ে এই দর্শনটাই ফুটে উঠেছে—বিজ্ঞানকে মানুষের জীবনের গল্পের সঙ্গে মেলানো, এবং জ্ঞানকে সহজ ভাষায় মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। আমি বিশ্বাস করি, বিজ্ঞান কেবল গবেষণাগারে নয়, আমাদের প্রতিদিনের জীবনেও বেঁচে থাকে—যতদিন আমরা কৌতূহলী থাকতে পারি এবং নতুন কিছু শেখার আগ্রহ হারাই না।