নামের পাশে ডক্টরেটের দীক্ষার টাস্কি খাইয়েন না ভাইজান! গবেষণার নামে এমন যন্ত্রপাতি ভাঙা শুরু করছিলাম যে ল্যাবের গরিব মাইক্রোস্কোপগুলোও আমারে দেইখা কাঁদত। প্রফেসর সাহেব শেষমেশ হাতজোড় কইরা কইলেন, “বাপু, তোরে ডিগ্রি দিয়া বাইর কইরা দিলেই বাঁচি!”—এই ডিগ্রি তাই আসলেই ল্যাবের গায়ে বাঁচার লাইসেন্স।
তারপর হইল কাহিনি শুরু—এই দেশ ওই দেশ কইরা একেবারে গরুর গাড়ির ঘণ্টার মতন ঝনঝনাইয়া ঘুইরা বেড়াচ্ছি। কখনো ওথানে, কখনো তথানে, যেন বেদুইনেরও চাকরি নিয়া ফেলছি। কোনখানে যে ঠিকানা করি—সে প্রশ্নে এখনও সিলমোহর নাই।
জন্মগত আতলামি, এইডা বাদ দেই কেমনে? যেখানে যাই, খানিকটা ‘আতলা রঙ’ দিয়া আসতে হয়। জায়গা পাই নাই—শেষমেশ ফেসবুকেই ঘাঁটি বানাইলাম, ভাবলাম অন্তত আপনাগো মাথা ধরার লাইসেন্সটা তো ফ্রি।
তাই যদি নিয়মিত মাথা ধরাইতে চান, সাবস্ক্রাইব কইরা রাখেন। ইনবক্সে হাজির হইবো—কখনো দিবসের দুপুরে, কখনো রাতের শেষ প্রহরে—যেন একখানা ডিজিটাল গুনগুনানি। কখনোওবা “বৈঠকী কিসসা” লইয়া হাজির।
ঢাকাইয়া পোলা আমি—কি করমু বলেন? সবখানে রস খুইজা লই, দুঃখের গহ্বরেও মজা খুঁজতে পারি। দুঃখে গা ভিজাইলেও আনন্দে টইটুম্বুর হইয়া দিন-রাত্রি পার কইতাছি।
সবাই ভালো থাইকেন। বড় ভাইদের কদমবুছি, ছোটদের মাথায় আদর—এই ঢাকাইয়া পোলার তরফ থেইক্কা আপনেরে দিলাম ।