https://www.youtube.com/watch?v=uveF0EtlUdk

সম্প্রচার: ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দেশের প্রথম দৈনিক লাইভ সেলিব্রেটি শো "তারকা কথন”

অনুষ্ঠান: তারকা কথন উপস্থাপনায়: সাফি আহমেদ অতিথি: ড. মশিউর রহমান প্রযোজনা: অনন্যা রুমা

image.png

চ্যানেল আই টিভিতে মুখোমুখি ড. মশিউর রহমান

চ্যানেল আইয়ের আলোচনামূলক অনুষ্ঠানে সম্প্রতি ড. মশিউর রহমান-এর সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎকার সম্প্রচারিত হয়েছে। তিনিও একজন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী, বর্তমানে সিঙ্গাপুরের ওমরন হেলথকেয়ারে ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত এবং ডিজিটাল স্বাস্থ্যপ্রযুক্তির গবেষক। সাক্ষাৎকারে তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন; যা আমাদের চাকরিজীবন, স্বাস্থ্যসেবা, গবেষণা ও সার্বিক জীবনযাত্রাকে কীভাবে পরিবর্তন করছে। তাঁর বক্তব্য ছিল সময়োপযোগী এবং উৎসাহবর্ধক—চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি নতুন সুযোগও তুলে ধরছে।

কর্মসংস্থান ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

প্রথম প্রশ্ন ছিল, “এআই কি আমাদের চাকরি কেড়ে নেবে?” ড. মশিউর বলেন, এরকম আশঙ্কা পুরোটাই নয়। বরং এআই অনেক নতুন সুযোগ সৃষ্টি করছে। তিনি বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের একটি তথ্য তুলে ধরে বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৭ কোটি নতুন চাকরি তৈরি হবে। যদি ধরা হয় ২০৩০ সালে ১০০ জনের মধ্যে ১০ জন চাকরি হারায়, তাহলে বাকি ৯০ জনের মধ্যে ৬০ জন সম্পূর্ণ নতুন পেশায় নিয়োজিত হবেন এবং ৩০ জন তাদের দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে আগের চাকরিতেই থাকবেন।

ড. মশিউর বলেন, এই তথ্য ভয়ের কারণ নয়, বরং আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। কিছু পেশায় পরিবর্তন আসতে পারে—বিশেষ করে কম প্রশিক্ষিত কাজের ক্ষেত্রে (যেমন সরল লোগো ডিজাইনার)—সেখানে চাকরির সংখ্যা কমে যেতে পারে। তবে যারা ডিজাইন বা প্রযুক্তিতে দক্ষ, তারা এআইকে সহযোগী হিসেবে নিয়ে তাদের কাজকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারবে। অর্থাৎ নিজেকে নতুন দক্ষতায় গড়ে তোলা হবে মূল চাবিকাঠি।

স্বাস্থ্যসেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে আজ বিশাল পরিমাণ তথ্য (ডেটা) সংগ্রহ হচ্ছে, এবং এআই এর মাধ্যমে সেই তথ্যের যথাযথ ব্যবহার করা হচ্ছে। ড. মশিউর বলেন, “স্বাস্থ্য সেবা এক বিশাল তথ্যভাণ্ডার যেখানে প্রতিদিন কোটি কোটি পরিমাপের ফলাফল জমা হয়।” উদাহরণস্বরূপ রক্তচাপের পরিমাণ, ওজন, এক্স-রে ইমেজ এবং রোগীর জিনগত তথ্য—এসব ডিজিটাল ডিভাইসে সঞ্চিত হচ্ছে। এই তথ্যগুলোকে বড় ডেটা এবং মেশিন লার্নিংয়ের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করলে চিকিৎসার পদ্ধতি বদলে যাচ্ছে।

এআই স্বাস্থ্যখাতে অনেক সুবিধা দিচ্ছে: