8Feb2025-AjkerPotrika-screen.pdf
প্রকাশিত তারিখ: ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
লেখক:
লিংক: https://www.ajkerpatrika.com/education/ajprhiwidqpl6
বিশ্বখ্যাত ওমরন হেলথকেয়ারের ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন প্রবাসী বাংলাদেশি ড. মশিউর রহমান। স্বাস্থ্য খাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ নিয়ে তাঁর প্রধান কাজ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নাদিম মজিদ।
প্রশ্ন: ওমরন হেলথকেয়ার কী নিয়ে কাজ করে এবং আপনার কাজের ক্ষেত্রগুলো কী কী?
মশিউর: ওমরন হেলথকেয়ার হলো একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান, যার প্রধান অফিস জাপানে। এটি মূলত ডিজিটাল হেলথকেয়ার ও মেডিকেল ডিভাইস নিয়ে কাজ করে। আমি ওমরন হেলথকেয়ারের এশিয়ার হেড অফিস সিঙ্গাপুরে ডিজিটাল হেলথ বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), IoT, ক্লাউড কম্পিউটিং, বিগ ডেটা অ্যানালিটিকস ও রিমোট পেশেন্ট মনিটরিং সম্পর্কিত ডিজিটাল হেলথ সল্যুশন তৈরি ও উন্নয়নে নেতৃত্ব দিচ্ছি।
প্রশ্ন: স্বাস্থ্য খাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগে কোন কোন জায়গায় জাপান আমাদের চেয়ে এগিয়ে?
মশিউর: আমাদের দেশে সব ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ বাড়ছে। স্বাস্থ্য খাতে এর প্রয়োগ বহুলাংশে বেড়েছে। দেশের সঙ্গে বহির্বিশ্বের তুলনা করলে বলব, দেশের স্বাস্থ্য খাতে তথ্যের পরিমাণ ও গুণগত মান সবচেয়ে বড় বাধা। অন্য দেশে স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে শুধু যে তথ্য বেশি থাকে তা নয়, সেসব তথ্য অনেকাংশে সঠিক। কিন্তু আমাদের হাতে খুব বেশি তথ্য নেই। আবার যে তথ্য রয়েছে, তার একটি বড় অংশ ভুলে ভরা। আমরা যাকে জাঙ্ক তথ্য বলি, যা কোনো কাজে ব্যবহার করা যায় না।
প্রশ্ন: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে শিক্ষার্থীদের টিকে থাকতে হলে কী কী শেখা উচিত?
মশিউর: শিক্ষার্থীদের কার্যকর কিছু শেখা উচিত, যা তাঁদের একাডেমিক জীবন শেষে চাকরির বাজারে প্রবেশে সহায়ক হবে। তখন লব্ধ শিক্ষা সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে যাবে। তাই ভবিষ্যতে কাজে লাগবে, এমন কর্মমুখী স্কিলসেট অর্জনের জন্য শিক্ষার্থীদের এখন থেকে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।